অন্যকে নিরাপদে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়াই যাদের ”ঈদ আনন্দ”

জাহিদুল হাসান জাহিদ, তীব্র তাপদাহ উপেক্ষা করে সড়ক ও মহা সড়কে অতন্ত্রপ্রহরীর দায়িত্ব পালনে ট্রাফিক পুলিশ। যাদের অক্লান্ত পরিশ্রম আর দায়িত্ব কর্তব্যের মাধ্যমে সড়ক ও মহা সড়কে যানজট মুক্ত রেখেছে সৈয়দপুর ট্রাফিক পুলিশ পরিবার। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে মানুষ তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে ঈদে কেনা কাটা করে যানজট মুক্ত ভাবে নিরাপদে নিজ গৃহে ফিরতে পেরে শহরবাসী দারুণ খুশি।

গোটা রমজান মাস  অক্লান্ত পরিশ্রম করে  শহরের সড়ককে যানজট মুক্ত রেখেছেন যারা তারা হলেন, শহর ও যান চলাচল ইন্সপেক্টর (টি,আই) আবু নাহিদ পারভেজ চৌধুরী, পুলিশ সার্জেন্ট মো.আশরাফ কুরাইশী, মো.সাদেকুর রহমান সুজন, শহর সাব ইন্সপেক্টর মো.আব্দুল মমিনুল ইসলাম,শহর সাব ইন্সপেক্টর আব্দুল খালেক, এ টি এস আই যথাক্রমে – মো. জহিরুল ইসলাম, মো.দেলোয়ার হোসেন, মো.মাহাবুবুর রহমান, মো. নবিউল ইসলাম, এবং পাঁচজন কনস্টেবল- যথাক্রমে- মো.আবুল কালাম আজাদ, মো.শাহিবুল হক, শ্রী দীলিপ চন্দ্র, মো.আমির আলী, মো. মোস্তাফিজুর রহমান।

সৈয়দপুর শহর ও যানচলাচল ইন্সপেক্টার (টি,আই) আবু নাহিদ পারভেজ চৌধুরী বলেন, সাধারণ মানুষকে যানজট মুক্ত ভাবে নিরাপদে বাড়িতে পৌঁছাতে পারাটাই আমাদের ট্রাফিক পুলিশের ঈদ আনন্দ। আমাদের ট্রাফিক পুলিশের বেশির ভাগ সময় পিতা- মাতা, স্ত্রী, ছেলে – মেয়েদের সাথে ঈদ উদযাপন করা সম্ভব হয় না। বেশির ভাগ সময় আমাদের ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের সড়কে ঈদ উদযাপন করতে হয়।

এছাড়া তিনি আরো বলেন, ঈদের প্রথম,দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিন সৈয়দপুর সড়কে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হবে। অভিযান বলতে তিনি বলেন,এই তিন দিন যুবক কিশোররা সড়কে বেপরোয়া ভাবে মোটরসাইকেল চালায়। এতে করে দুর্ঘটনা রোধে এই অভিযান করা হবে।

পুলিশ সার্জেন্ট আশরাফ কুরাইশী জানান,নয়টি ঈদ আমি সড়কে উদযাপন করেছি। তবে এই বার ঈদের ছুটির জন্য আবেদন করেছি। ছুটি পেলে স্ত্রী, ছেলে – মেয়ের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করবো পঞ্চগড়।

অপর আর একজন পুলিশ ইন্সপেক্টার মো.সাদেকুর রহমান সুজন বলেন,সৈয়দপুর শহরে নতুন এসেছি। আমার ঈদ উদযাপন সড়কে হবে। সময় স্বল্পতার কারণে অন্যান্য ট্রাফিক সদ্যদের সাক্ষাৎ নেওয়া সম্ভব হয়নি।।